থমকে গেছে নাটোরের লালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা রয়েছে এই চরে। দ্রুত এই এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের।
২০১৫ সালে সংসদে কৃষিজমি বহির্ভূত চর এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের আলোচনায় উঠে আসে নাটোরের লালপুরের নাম। ১৬শ’ একর খাস জমিসহ ৩৪শ’ একর জমির ওপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রস্তাব করা হয়। জমি কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয় একশ’ কোটি টাকাও।
এরপর সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলেও হঠাৎ করেই তা থমকে যায়।
সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, নাটোর-ঈশ্বরদী-পাবনা এই অঞ্চল সিঙ্গাপুরের মতো একটা জায়গায় পরিণত হতো। নাটোরের ৩০-৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ এই এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সব সুবিধা রয়েছে। পদ্মার চরে বেশি জমি কিনতে হবে না। নষ্ট হবে না কৃষি জমিও।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী বলেন, “এটা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী। এখানে খাস জমি, অকৃষিজমি, চর অঞ্চলে এই স্থাপনাটা নির্মিত হবে। এখানে শুধু স্ট্রাকচার নির্মাণ করতে হবে।”