নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ০৮-০১-২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আসামী আনিকা তাসনিম সরকার দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন ০৩ নং ওয়ার্ডস্থ নিমতলা প্রেস ক্লাবে আসিয়া সময় অনুমানিক সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় বাদী ও আশোপাশের লোকজনকে মোছাঃ আঞ্জুমান আরা আজমেরী নামে দিনাজপুর ডিসি অফিসে এসএ শাখায় কর্মরত আছেন বলিয়া পরিয়া দেন। আসামী আনিকা তাসনিম সরকার দিনাজপুর ডিসি অফিসে জনবল নিয়োগ হইবে মর্মে বাদীকে অবগত করিয়া পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য আলোচনা করেন। ইং-১৪/০১/২০২৩ তারিখ সময় ০৩.০০ ঘটিকায় আসামী আনিকা তাসনিম সরকার অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম Whatsapp এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাদীকে প্রদান করেন। ইং-১৫/০১/২০২৩ তারিখ বাদী উক্ত আসামীর কথামত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের নির্দেশনাপত্র ও নিয়োগ বিজ্ঞন্তির কপি “দৈনিক মানবকণ্ঠ” ঢাকা ও দৈনিক খবর একদিন” পত্রিকা দুটিতে প্রকাশ করেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক দিনাজপুর মহোদয়ের নিকট দৃষ্টিগোচর হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় সংবাদপত্র দুটির সম্পাদকরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তিনি জানান যে, দিনাজপুর ডিসি অফিসের আঞ্জুমান আরা আজমেরী স্যারের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনাপত্র নিয়োগ বিজ্ঞরি কপি প্রাপ্ত হইয়া সংবাদ পত্রে প্রকাশ করেন। কিন্তু দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবগতনন বা এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানেন না এবং আঞ্জুমান আরা আজমেরী নামে কোন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট বা কোন কর্মকর্তা নেই। ভুয়া পরিচয় আঞ্জুমান আরা আজমেরী প্রতারনা করার উদ্দেশ্যে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাদীকে সরবরাহ করে প্রকাশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বাদী থানায় আসিয়া ভুয়া পরিচয়দানকারী আঞ্জুমান আরা আজমেরীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদরসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ঘটনা অনুসন্ধান শুরু করেন। পুলিশ সুপার জনাব শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম এর সমন্বয়ে নিবীড় তত্বাবধান ও নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, জনাব মোঃ তানভিরুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) মোঃ ইমদাদুর রহমানসহ থানার বাছাই করা চৌকশ টিম একটানা অভিযানে নামে। অভিযানে তারা দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় চিরুনী অভিযান শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় যে, আসামীরা ঘটনার পরপরই ঢাকা, নাটোর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে আসছে। ভুয়া মেজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী আসামী আনিকা তমনিম সরকারসহ তাহার সঙ্গীয় ব্যাক্তি দিনাজপুর বালুবাড়ী ভাড়া বাসা হতে গোপনে তাদে মালামাল নেওয়ার জন্য আসে। অভিযান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে ঘটনাস্থল বালুবাড়ীতে অবস্থান নেন। উক্ত বালুবাড়ী ভাড়া বাসা হতে ০২ (দুই) জনকে গ্রেফতার করেন।
অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিন বালুবাড়ী হতে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী আনিকা তাসনিম সরকার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় নব নিয়োগ শাখা গেজেট এর ক্রমিক নং-১০৫ দিয়ে পরিচয় দিতেন ডিসি অফিসের চাকুরী করেন মর্মে পরিচয় দেন। আসামী আনিকা তাসনিম সরকার রুশ মডেলের গাড়ী যাহার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩৭০-২৭ এমনভাবে ব্যবহার করেন যাহাতে সবাই মেজিস্ট্রেট ভাবে। অভিযানে মোট ০২ (দুই) জন গ্রেফতার হন।
অভিযানটি সফল করতে প্রযুক্তির সাথে যৌক্তিক চিন্তার সমন্বয় করা হয়। আসামী আনিকা তাসনিম সরকার এর পরিকল্পনা ও অপরাপর আসামীদের অংশগ্রহনে তারা এই দুষ্কর্মটি সম্পন্ন করে।