স্টাফ রিপোর্টারঃ
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।
মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর গৌরবময় অবদান রয়েছে। ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বার ছিলেন এ বাহিনীর একজন প্লাটুন কমান্ডার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার ছিল আনসার বাহিনীর ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন আনসারের ১২ জন অকুতোভয় বীর সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৬৭০ জন বীর সদস্যের জীবন উৎসর্গের কথা স্মরণ করি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি দৈনিক আজকের খোলা কাগজ পরিবার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬১ লাখ সদস্য দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সারা দেশেই অর্থনীতির চালিকাশক্তি কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে আনসার সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সাথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদের বিভিন্ন পেশায় বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভবিষ্যতেও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বাক্ষর রাখবে বলে আমরা আশাবাদি