নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
থানাকে আক্ষরিক অর্থে জনগণের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও ইউনিট কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
তিনি আজ সকাল যশোর পুলিশ লাইনসে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ প্রদান করেন। সকল সভায় রেঞ্জাধীন সকল জেলার পুলিশ সুপার, বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্র থানা। দেশের সম্মানিত নাগরিকগণ যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, থানায় নারী, শিশু,বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রধান হিসেবে থানার সেবা প্রদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাই। তিনি বলেন, যারা একেবারে সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, নিরীহ, গরীব, নারী তাদের জন্য থানাকে আমি বিচার পাওয়ার স্থান হিসেবে দেখতে চাই। এর জন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার ও তাদের কথা শোনা এবং অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে যে কোন ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দৃঢ় কন্ঠে উচ্চারণ করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট পুলিশ গঠনের যে নির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেজন্য আমাদেরকে মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আগে তদন্ত ছিল সোর্স নির্ভর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে এখন তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বেশিরভাগ অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা সবাই একযোগে কাজ করেছি বলেই দেশে আজ স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত হয়ে পুলিশ অতীতে যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে আগামী দিনেও যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইজিপি।
সভায় বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল বিষয় তুলে ধরেন। সভার এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার বিপিএম, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার) পিপিএম, কেএমপি কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা বিপিএম, যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।