নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে এক শিক্ষকের নামে চাঁদাবাজি মামলাা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক মহানগরীর একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করেন । শিক্ষক মাসুদ রানা রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম কবিরাজের ছেলে। তিনি রাজশাহী মহানগরীতে বসবাস করেন।
অপরদিকে , মামলার বাদী প্রাইম ব্যাংক ময়মনসিংহ সদর শাখার সিনিয়র অফিসার মারুফ হাসান। তাঁর বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মুগাইপাড়া গ্রামে। পিতার নাম নায়েবউল্লাহ মন্ডল তিনিও নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর ১নং সেক্টরে বসবাস করেন।
জানা গেছে বাদী-বিবাদী সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। তাঁদের মধ্যে বিশাল একটি পুকুর লিজ নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে।
সূত্র জানায়, মাসুদ রানা অপর শরিক মারুফ হাসানের নিকট ৩১ অক্টোম্বর ২০২১ সালে বিবাদমান পুকুরটির লিজ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে মারুফ হাসানের সাথে মাসুদ রানার পারিবারিক কলহের জেরে মারুফ, ১২ নভেম্বর ২০২১ সালে সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদকে সাবলিজ প্রদান করেন।
মাসুদ রানা দাবী করেন, পুকুর লিজ বাবদ মারুফকে ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। প্রাইম ব্যাংক রাজশাহী থেকে ১ কোটি টাকা লোন পাইয়ে দেয়ার নাম করে মারুফ আরও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নেন।
এছাড়াও রাজশাহীর পবা থানার বেতকুড়ি গ্রামের গোলাম মর্তুজার ছেলে মাবুদ সরকার অনিক ও বোয়ালিয়া মডেল থানার বোষপাড়া তেতুলতলা এলাকার সেলিম আমজাদের ছেলে সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময়ে ধার দেন মারুফ হাসানকে ।
ওই টাকা ফেরৎ চাইল মারুফ কালক্ষেপণ ও টাল বাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অনিক ও স্বাধীনকে প্রাইম ব্যাংকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রাইম ব্যাংকে চাকরি না দিতে পারায় এবং লোন মন্জুর না হওয়ায় মাবুদ সরকার অনিক, সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, মাসুদ রানা পৃথক আবেদনে প্রাইম ব্যাংক ময়মনসিংহ সদর শাখার ম্যানেজার বরাবর সিনিয়র অফিসার মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
শিক্ষক মাসুদ রানা দাবী করেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, মামলার বাদী বাগমারা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মিথ্যা চাঁদাদাবীর মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ঘটনার দিন গত ০৪.০২.২৩ ইং তারিখ রাত সাড়ে আট ঘটিকার দিকে অনিক ও স্বাধীন মারুফকে উপশহর নিউ মার্কেট এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে তাঁকেও ডাকা হয়। মাসুদ রানা মোটরসাইকেল থেকে নামার পূর্বে ওদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মারুফ দৌড় দিলে পড়ে নাকে আঘাত প্রাপ্ত হন।
এ ঘটনায় অনিককে প্রধান,স্বাধীনকে ৩ নং এবং মাসুদ রানাকে হুকুম দাতা হিসাবে ২ নং বিবাদী করে ৩৮৫ ধারায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় চাঁদাদাবীর মামলা করেন মারুফ হাসান।
মামলার ১ নং স্বাক্ষী রাসেল রানা এবং ২ নং স্বাক্ষী স্কুল শিক্ষক সাহাবুব আলমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ ঘটনার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম না, এবং এ সমন্ধে আমার কিছু জানা নাই ( অডিও ক্লিপ আছে)।
প্রাইম ব্যাংক ময়মনসিংহ সদর শাখার ম্যানেজারর নিকট জানতে চাইলে তিনি এইচ আর শাখায় যোগাযোগ করতে বলেন।
ব্যাংকে অভিযোগের বিষয়ে মারুফ হাসানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি
বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়েছিল। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে আমি লিখিত জবাব দিয়েছি। বাগমারা উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমি কোন দিন শিবিরের সাথে জড়িত ছিলাম না।