মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন রোগী। নানা জাতের রোগ তাদের। কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কেউ তাকিয়ে আছেন সুস্থতার দিকে। ইদানিং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণও বাড়ছে। এর মধ্যে এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে হাসপাতালের ভেতরে ফেরিওয়ালা বিক্রি করছেন খোলা খাবার। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ৫ তলায় নারকেলের খোলা ট্রে নিয়ে মেডিসিন বিভাগে প্রবেশ করলেন এক ফেরিওয়ালা। আর রোগীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্রি করছেন ১০ টাকা মূল্যের খোলা নারকেলের অংশ। রোগী ও হাসপাতালে থাকা স্বজনেরাও কিনছেন বেশ সানন্দে। কাছে গিয়ে ছবি তুলতে চাইলে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।
১৬ টাকার ইনজেকশন কিনতে হল ৮০০ টাকায়
হাসপাতালের ভেতরে খোলা খাবার বিক্রি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইফতেখায়রুল ইসলাম সজীব বলেন, খোলা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। আর হাসপাতালের ভেতরে খাওয়া আরও বেশি ঝুকিপূর্ণ। এতে করে পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ আর হাসপাতালে এমনি নানা রোগী নানা অসুবিধা নিয়ে আসেন। খোলা খাবার খেলে রোগী ও তার সঙ্গে থাকা স্বজনরাও বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ভেতরে যাতে করে কেউ খাবার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য গার্ড রাখা হয়েছে। তাদের অগোচরে হয়তো প্রবেশ করেছে। বিক্রেতাদের অনেকবার বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টিতে আরও সচেতন হব। তবে যারা কিনছেন তাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।