মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ
নেই কোন রাস্তা, পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে কালভাট। আর এ সুয়োগে সন্ধ্যা নামলেই ঐ পরিত্যক্ত কালভাটে বসে বখাটেদের আড্ডা। পরিত্যক্ত এই কালভাটটি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের বাবুরিয়া গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে রাতোর বাজার উঠার ঠিক মাঝে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোপীনাথপুর এলাকার কাঁচা রাস্তায় নতুন একটি কালভাটের পার্শ্বে পরিত্যক্ত এ কালভাটটি । কালভাটটির কোন সংযোগ রাস্তা নেই। কালভাটের দুই পাশে আবাদি জমি রয়েছে। তাতে একপাশে রয়েছে মরিচের গাছ অন্য পাশে ধানের চারা । আর কালভাটটির ঠিক মাঝে ডেবে গেছে। কালভাটের বিভিন্ন অংশের ইট পাথর খোয়া গেছে।কালভাটটি রয়েছে বেশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ পরিত্যক্ত এই কালভাটটিতে সন্ধ্যা নামলেই বসে বখাটেদের আড্ডা। এ আড্ডা চলে রাত ভোর পর্যন্ত । তাছাড়া কালভাটটিও বেশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে। এতে কেউ হতাহতও হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাঙ্গা,সইদুল জানান, বর্তমান নতুন কালভাটটির পুর্বে এ কালভাটটি ব্যবহার করা হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে হঠাৎ করেই কালভাটের ঠিক মাঝে ডেবে যায়। এতে কৃষি কাজের বিভিন্ন গাড়ীসহ লোকজনের চলাচলে ঝুকি সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালভাটটিকে ঝুকিপূর্ণ আখ্যায়িত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখলে। বছর চারেক পরে পরিত্যক্ত কালভাটের ২০ গজ সামনে রানীশংকৈল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় নতুন একটি কালভাট নির্মাণ হয়। পরে পরিত্যক্ত কালভাটের রাস্তাটি নতুন কালভাটের সাথে যুক্ত করা হয়। সে থেকেই কালভাটটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে দাবী করেন তারা। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে দাবী রেখে বলেন,আপনারা পেপার পত্রিকায় দেন, এ কালভাটটি খুব ঝুকিতে রয়েছে। যখন তখন ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাছাড়া পরিত্যক্ত কালভাটটিতে বখাটেদের প্রচুর আড্ডা। বখাটেরা আড্ডার ছলে কখন কোন ক্রাইম অপরাধ করে বসে ঠিক নাই। তাই এই পরিত্যক্ত কালভাটটি স্থানতরের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তারা। এদিকে রানীশংকৈল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, রানীশংকৈল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ কালভাটটি তাদের নির্মাণ করা না। মুলত এ কালভাটটি কোন দপ্তর নির্মাণ করেছিলেন বা কোন অর্থায়ানে হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাযনি। রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন, পরিত্যক্ত কালভাটটি তার বাবা মরহুম মিজানুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকার সময় নির্মাণ করে দিয়েছিলেন বলে, স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। তবে কোন দপ্তর কালভাটের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেটি তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নি। তবে কালভাটটি স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে অপসারণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।