স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার এলজিডি অফিস সহকারী এমদাদুল হক আক্তার (৪০) এর বিরুদ্ধে মাদক সেবন সহ সাধারণ মানুষের নিকট থেকে ভবন নির্মাণের প্ল্যান পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এমদাদুল হক আক্তার ৩ অক্টোবর ২০১৮ সালে নবাবগন্জ উপজেলায় যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে উঠে বকাটে মাদক সেবনকারী মাদক ব্যবসায়ীদের সহিত ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ উটলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অফিস সহকারী এমদাদুল হক আক্তার কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা জন্ম গ্রহণ করেন ইতিপূর্বে সেই নওগাঁর মহাদেবপুরে ও আত্রাই উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায়ও তাহার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও মাদক সেবন ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠে এবং এ সংক্রান্ত মামলাও দ্বায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল হাজ্বতে প্রবেশ করলেও আদালত কে বৃদ্ধাআংগুল দেখিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে পূনরায় চাকুরীতে বহাল তাগিদে যোগদান করেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবাবগঞ্জ উপজেলার একজন সচেতন মহিলা প্রতিবেদক কে জানায়, এমদাদুল হক আক্তার সকলের নিকট পরিচিত তবে অফিস সহকারী হিসেবে নয়, কখনো উনি প্রকৌশলী কখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের ভাগ্নি জামায় আবার কখনো স্থানীয় এমপির আপন ফুপাতো ভাই,আবার কখনো তিনি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর ছেলে হিসেবে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরে প্ল্যান পাশের আটকে থাকা ফাইল তাহার নিকট গেলেই পাশ হয়ে যায় অর্থের বিনিময়ে। উপজেলার বার্রা ইউনিয়নের বসির পত্তনদার নামে এক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে জানায় সরকারি টিউবওয়েল পাইয়ে দিবে বলে আমার নিকট হইতে দশ হাজার টাকা নিয়ে আজ পর্যন্ত সেই টিউবওয়েল পাওয়া তো দূরের কথা টাকাও দিচ্ছেনা।
সম্প্রতি তাহার বিরুদ্ধে অফিসের নিজ চেয়ার সহ সরকারি কোয়ার্টারে’র ছাদে বসে বিভিন্ন সময়ে ইয়াবা সেবন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে । বিষয়টি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী জুলফিকার চৌধুরীর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয় টি আমরা অবগত হয়েছি আপনাদের মাধ্যমেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহিত আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে এমদাদুল হক আক্তারের বিরুদ্ধে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । মাদক সেবনের একটি ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে এমদাদুল হক আক্তার এর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদক কে হুমকি প্রদান করেন এবং এসময় তিনি বলেন, আমার মামা শশুর জনপ্রশাসনের সচিব আমার বড় বড় অফিসারের সহিত চলাফেরা দূর্নীতি করলেও সবায়কে ভাগ দিয়েই করি পরে তিনি প্রতিবেদকে কে ডিজিটাল মামলার হুমকি প্রদান করেন। এমদাদুল হক আক্তার এর অনিয়ম দূর্নীতি যেনো চরম শীর্ষে এর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন এমদাদুল হক আক্তারের দ্বারা প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগীরা সহ এলাকার সচেতন মহল