নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ০৯ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন ইকোপার্ক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অপরাধে সিলেট জেলার এয়ারপোর্ট থানায় রুজুকৃত মামলা নং ০৬ তারিখ- ০৩/০৮/২০২২ খ্রিঃ এর একমাত্র পলাতক আসামী রওশনালী বেপারী (৪৭)’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট হতে ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশায় একজন ট্রাক চালক। সে প্রায় ট্রাক চালিয়ে ভিকটিমের বাড়ীর পাশ দিয়ে যাতায়াত করত। যাতায়াতকালে হঠাৎ একদিন ভিকটিমকে রাস্তা দিয়ে একা আসতে দেখে সে ভিকটিমকে ডেকে এনে কিছু চকলেট কিনে দেয় এবং ভিকটিমকে টার্গেট করে। এরকম বেশ কয়েকদিন ভিকটিমকে চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি কিনে দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করে এবং ভিকটিমের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।পরবর্তীতে গত ০২/০৮/২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ০৬:০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম (১০) প্রকৃতির টানে তার বাড়ীর পিছনে টয়লেটে যায়। একই সময় রওশনালী ভিকটিমের বাড়ীর পাশে ওত পেতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দেখতে পেয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ডাক দেয়। অতঃপর ভিকটিম তার কাছে এলে সে ভিকটিমকে কৌশলে তার ট্রাকের কেবিনে উঠিয়ে ট্রাক চালিয়ে সিলেট জেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন ধোপাগুলা এলাকার নানাবুরার পাথরের সাইটের নির্জন রাস্তার পার্শ্বে ট্রাক থামায়। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ট্রাকের কেবিনের ভিতরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম ডাক-চিৎকার করলে রওশনালী ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং এতে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পরে। বিকাল ১৭:০০ ঘটিকায় ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে ধর্ষক রওশনালী তাকে বিস্কুট ও অন্যান্য জিনিষপত্র দিয়ে ভিকটিমকে ট্রাক থেকে নামিয়ে দিয়ে ট্রাক নিয়ে দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।