কেন্দুয়া(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দূর্গাপুর মোড়ের দোকান পাট সহ ৫ গ্রামের বাড়ি-ঘর ও গাছ পালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নওপাড়া ইউপির দূর্গাপুর মোড়,দূর্গাপুর গ্রাম,আটাশিয়া,মাইজকান্দি,মোজাফপুর ইউপির মোজাপুর গ্রাম এবং পাইকুরা ইউিপির তালুক মহেশ গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ঘর ও গাছপালা।এছাড়া মোজাফরপুর গ্রামের লুতৎফিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং নওপাড়া ইউপির জামিয়া এমদাদুল ইসলাম নূরানী মাদ্রাসা ভেঙ্গ লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তে সর্বশান্তদের মাঝে নওপাড়া ইউপির দূর্গাপুর গ্রামের সালাউদ্দিন সালামের বড় বড় গাছ ও ফলের বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
দূর্গাপুর মোড়ের বদরুল আলমের দোকান, রহমতুল্লাহর মুরগির ফার্ম,খায়রুল ইসলামের রড সিমেন্টের দোকান,স্বাধীন ফকিরের চায়ের দোকান,রফিকুল ইসলাম ও সোনা মিয়ার মনোহারি দোকান, মাইজকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের হ্যাচারী,আটাশিয়া গ্রামের মিরন দাস,সুমন দাস,বাবুল চন্দ্র দাস, অজয় চন্দ্র দাস,আব্দুর রশিদ, দূর্গাপুর গ্রামের জান্নাতুল আক্তার, নয়ন মিয়া, সেকান্দর মিয়া, ইদু মিয়া, শাহেদ আলী, নাজুন্নাহার,আব্দুস সাত্তার, মাইজকান্দি গ্রামের রেদোনা আক্তার, পাইকুড়া ইউপির তালুক মহেশ গ্রামের খলিলুর রহমান,মোজাফরপুর গ্রামের মৃত আবু হানিফার পরিবারের বসতঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের পর নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাওসার, পাইকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন ও মোজাফরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূইয়া ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পর পরই সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করতে যাবো এবং যতোটুকু সহায়তা করা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।