কেন্দুয়া(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ রইছ উদ্দিন ওরফে আঃ হাই।
আঃ হাইয়ের সংসার চলে তার একমাত্র অবলম্বন বাহাদুরের মাধ্যমে। মানুষের যাপিত জীবনের সাথে যে সাধারণ কোন প্রাণীর জীবন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত তা আঃ হাইয়ের বাহাদুর বা ঘোড়ার প্রসঙ্গ না টানলে বুঝা যাবে না।
ষাটোর্ধ আঃ হাইয়ের সাথে কথা হলে জানায়, আমার স্ত্রী,ছেলে-মেয়ে সবাই থাকে জামালপুর জেলায়।তারা কেউ আমার খোঁজ -খবর নেয় না।তাই আমার সংসার চলে বাহাদুরের উপার্জনই। অর্থাৎ তার ঘোড়ার পিঠে মানুষের মালামাল ও মানুষ চড়িয়ে জীবনের রসদ যোগান।
দিন শেষে ৪০০/৫০০ টাকা আয় হলেও বাহাদুর বা ঘোড়ার পেছনেই তার ব্যয় হয় প্রায় ৩০০ টাকা।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে আমার নাম রয়েছে, আমি ৫০০ টাকা জমা দিয়েছি এবং সরকার আমাকে জায়গাও দিয়েছে। কিন্তু আমাকে ঘর বেঁধে দেয় নি। বহু কষ্টে কিছু টাকা জমিয়ে ঐ জায়গায় একটি টিনের ঘর তুলে বসবাস করছি। সরকারের কাছে আমার দাবি, সরকার আমাকে একটি ঘর তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিক।
সাবেক ইউপি সদস্য তারা মিয়া বলেন,আঃ হাই অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে। সমাজের বিত্তবান ও সরকারের উচিত তার খোঁজ খবর নেয়া।এতে করে তার কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,বর্তমানে যাদের জায়গা ও ঘর নেই তাদের জন্যে কাজ হচ্ছে। পরবর্তীতে যাদের জায়গা আছে ঘর নেই তাদেরকেও ঘর তুলে দেয়া হবে।