নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, নৌ পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে নৌপথে যাত্রী, নৌযান মালিক এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি দেশের নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে নৌ পুলিশকে আরো পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রত্যাশা নিয়ে নৌ পুলিশ গঠন করেছে সে প্রত্যাশা পূরণে আরো ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভালো কাজের রেকর্ড ভাঙতে হবে।
আইজিপি নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে
নৌ পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নৌ পুলিশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, নৌ পুলিশের ১৪১টি থানা/ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জগণ ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের ফলে জঙ্গি দমনে আমরা সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা প্রদান করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশি সেবা পেতে মানুষ যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে পুলিশ ভালো কাজ করছে। অতীতে যেখানে প্রায় ৯০ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হতোনা সেখানে বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং মামলা তদন্তে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইজিপি বলেন, কোন পুলিশ সদস্য মাদক ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। কোন পুলিশ সদস্যের অপরাধের দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না।
নৌ পুলিশ প্রধান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে নৌ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নৌ পুলিশ নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তিনি বিশেষায়িত এ ইউনিটের কার্যক্রম আরো অনন্য মাত্রায় উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নৌ পুলিশের কর্মকর্তাগণ অপারেশনাল কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আইজিপিকে অবহিত করেন। আইজিপি তাদের বক্তব্য শোনেন এবং সম্ভাব্য সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
আইজিপি নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ ঘুরে দেখেন। তিনি নৌ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।