নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১৬ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানায় কর্মরত এস আই (নিঃ) এম এম আবু মুসাম্মা ও সংগীয় ফোর্স কনস্টেবল মোঃ মামুসহ শ্রীনগর থানার ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী আব্দুল সাত্তার শেখ ছাত্তার (৫০)’কে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন খৈয়াগাঁও এলাকায় যায়। অতঃপর উল্লেখিত এলাকায় ছত্তর এর বাড়ীর পাশে ফাঁকা জায়গায় উপস্থিত হলে আসামী ছত্তর পুলিশ সদস্যদের দেখতে পেয়ে পালানোর চেষ্টকালে এস আই আবু মুসাম্মা ও সংগীয় ফোর্স কনস্টেবল মোঃ মামুন আসামী ছাত্তার’কে গ্রেফতার করে হাতকড়া পরায়।
অতঃপর আসামী ছত্তর এর ডাকচিৎকারে তার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও তার পুত্রবধুসহ পরিবারের বেশকিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা দ্বারা ও ইট/পাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে এস আই আবু মুসাম্মা ও কনস্টেবল মামুনের উপর হামলা করে আসামী ছত্তরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এস আই আবু মুসাম্মা শ্রীনগর থানায় বিষয়টি জানালে উক্ত থানা হতে পুলিশ এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনার পর এস আই আবু মুসাম্মা বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় বে-আইনি জনতা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারী কাজে বাধা প্রদান, আক্রমনাত্বক আচরণ প্রদর্শন ও সরকারী কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করায় ১। মিতু বেগম (২৭), স্বামী- মনির, ২। মুনমুন বেগম (২৫), স্বামী-ইমরান শেখ, ৩। ইমরান শেখ (২৮), পিতা- আব্দুল সাত্তার শেখ, ৪। আব্দুল রাজ্জাক (৪০), পিতা- মৃত নূর মোহাম্মদ, সবার সাং- খৈয়াগাঁও, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জসহ ১২ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৯ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার রমনা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী আব্দুল সাত্তার শেখ @ ছত্তর (৫০) এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারী কাজে বাধা প্রদান, আক্রমনাত্বক আচরণ প্রদর্শন ও সরকারী কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অপরাধে ১। মিতু বেগম (২৭), ২। মুনমুন বেগম (২৫), ৩। ইমরান শেখ (২৮) ও ৪। আব্দুল রাজ্জাক (৪০)’দের গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।