মোঃ মশিউর রহমান বিপুল
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসব নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ীগুলোতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন।
দুধকুমার নদের পানির প্রবল স্রোতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গায় রাস্তা ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ।
তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও সবগুলো নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর,পাঁচগাছী, মোগলবাসা, ঘোগাদহ ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুর চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও অনেক পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের প্রয়ো্জনীয়তা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনও বন্যার্তদের মাঝে বিতরন শুরু হয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত প্রধান নদ-নদীগুলোর পনি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হওয়ার আশংকা নেই বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা