মোঃ মশিউর রহমান বিপুল
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় ডাঃ মোছাঃ রোকেয়া আক্তার বিজলি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ) নিজের পরিচয় ও স্বামীর স্থানীয় প্রভাব ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবার নামে অসহায় মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবসার উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগের খাবার হোটেলকে বদলিয়ে বানিয়ে ফেললেন ক্লিনিক । নাম তার “হলিকেয়ার ক্লিনিক”।মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদানের নামে এখানে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা ব্যবসা। আর্তমানবতার সেবার বদলে চলছে রোগীকে জিম্মি করে অর্থ আদায়। স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের বদলে রোগী ও প্রসূতির জীবন নিয়ে শঙ্কার ভয় ঢুকিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। মানব সেবা ও মানবিকতা ভুলে কসাইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে হলিকেয়ার ক্লিনিক।
কারণে অকারণে বার বার বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা ও আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সিজার রোগীকে পৃথক রুমে রাখার কথা বলা হলেও ৭-৮ জন সিজার রোগীকে একই রুমে রাখা হয়েছে গাদাগাদি করে। ময়লা আবর্জনাবেষ্টিত অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে রোগীরা যৌন ও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্লিনিক থেকেই। অনেক নবজাতক ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। অস্ত্রপচারের অনুপযোগী পরিবেশে অস্ত্রোপচারের কারনে রোগীরা ভুগছেন অস্ত্রপচার পরবর্তী “ইনফেকশনে”।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সেখানে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক, নেই কোনো স্টাফ নার্স । “ডাঃ মোছাঃ রোকেয়া আক্তার বিজলি”বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না হয়েও দালালদের মাধ্যমে নিজেকে বিশেষজ্ঞ বানিয়ে, করছেন বিভিন্ন অস্ত্রপচার। এতে করে রোগীরা বাসায় ফিরে নানা আত্মঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউবা অন্যত্র ভর্তি হয়ে অস্ত্রপচার পরবর্তী রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমন একজন রোগী মোছাঃ হোসনে আরা,বাড়ি খামার হাসনাবাদ। তার সাথে কথা হলে হোসনে আরা জানান, ২ মাস আগে এখানে এসে সিজার করে সন্তান প্রসব করি। তারপর আমার ইনফেকশন হয়,পরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসা নেই। সেখানে আমার অপারেশনের যায়গার সেলাই কেটে প্রতিদিন ড্রেসিং করে। প্রায় ১০/১২ দিন ড্রেসিং করার পর পুনঃরায় সেলাই দিয়ে দেয়। নার্স আয়াদের খারাপ আচরণের কথাও জানান “হোসনে আরা”।
হাসনাবাদের চতলার পাড়ের মোছঃ আদরী এবং দেবেবতর ভিতরবন্দের রোকসেনা এখানে অস্ত্রপচার পরবর্তী ইনফেকশন এর কারনে বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয় গুলো তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।