নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শিশুদের সাথে আনন্দময় দিন কাটালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)। আর এরকম একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে পেয়ে শিশুরাও ছিলো উচ্ছ্বসিত।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘আমার কথা শোনো, ছোটরা বলবে, বড়রা শুনবেন’ শিরোনামে ‘পুলিশ আমার বন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএমপি কমিশনার।
শিশুরা প্রতিদিন তাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে ডিএমপি কমিশনারকে। কমিশনার কোমলমতি শিশুদের প্রত্যেকটি প্রশ্ন মনোযোগ সহকারে শোনেন ও উত্তর দেন। এমন বড় মাপের একজন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট থেকে তাদের প্রশ্নের যথার্থ উত্তর পেয়ে শিশুরা খুব খুশি হয়। ডিএমপি কমিশনার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি শিশুদের মাঝে চকলেট ও ম্যাংগোবার উপহার দেন।
‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন ও চেয়ারম্যান লাকী ইনামসহ চার শতাধিক শিশু ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যানজট ঢাকা মহানগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। সোয়া দুই কোটি জনসংখ্যার এই নগরীর মানুষ যদি সচেতন হয় তাহলে যানজট অনেকখানি নিরসন করা সম্ভব। নিজেদের চলাফেরা, গাড়ি চালানো, আগে যাওয়ার প্রবণতা বা রাস্তা পারাপারের জন্য ‘আমি যেন রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের কারণ না হই’ এই স্লোগানটি তিনি সম্মানিত নগরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চান।
তিনি বলেন, কমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছি অল্প কয়েক দিন। এরমধ্যে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকরা তাদের বসার রুমটি সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত করার সময় দিয়েছিলেন। সেটা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমাধান করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই একটি হট লাইন নাম্বারে চালু করা হবে ‘মেসেজ টু কমিশনার’।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনেকের পুলিশ সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারণা আছে, কিন্তু তারা কখনো পুলিশের শরণাপন্ন হন নাই। দেশ যেমন বদলাচ্ছে সে অনুযায়ী পুলিশও বদলাচ্ছে, প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ এক পা এগিয়ে আছে। পুলিশের সফলতার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা দরকার।
যে সমস্ত শিশু বন্ধুরা বড় হয়ে পুলিশ হতে চায় তাদেরকে সাধুবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার। তারা আইন বাস্তবায়নকারী ও মানবতাবাদী পুলিশ অফিসার হবে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সেদিনের বাংলাদেশ হবে আরো সুন্দর, আরো শান্তিময়। সারা বিশ্বের মানুষ তখন তাকিয়ে থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ হবে সবচেয়ে শান্তিপ্রিয়, সবচেয়ে সুশৃংখল সে প্রত্যাশা রাখেন তিনি।
শিশুদের পরিবেশনায় শুরু হয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার ক্লাবের পরিবেশনায় শেষ হয়।