মাদক পল্লী নামে পরিচিত যে গ্রাম
★নওগাঁর নিয়ামতপুর
উপজেলার ২নং চন্দননগর
ইউনিয়নধীনঃ
★ছতাড়া বাজার
★সিনোড়া
★উজিরপুর গ্রাম এখন
মাদক সাম্রাজ্যই পরিনত
নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গ্রামজুড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে ফেনসিডিল ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা। আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের মদদদাতা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যানারে থাকা নেতাদের ক্যাডার বাহিনী ও নিকট স্বজনেরা। কেউ মুখ খুললে চলে হেনস্তা, সহ ওল্টো মিথ্যা মামলা প্রদানের পায়তারা।
দেওয়া হয় হত্যার হুমকি।
এমন পরিস্থিতিতে অসহায় নিয়ামতপুর উপজেলার ২ নং চন্দন নগর ইউনিয়নের ছাতড়া বাজার সহ সংলগ্ন সিনোড়া উজিরপুর গ্রামের সচেতন ও সাধারণ মানুষ। মাদক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী মদদদাতা ও কয়েকজন পুলিশের সোর্স ও হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাছ ব্যবসায়ী ভ্যান চালক নানান ছদ্মবেশ ধারণ করে চালিয়ে যাচ্ছে এই মাদক বানিজ্য বলে জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
ভুক্তভোগীরা বলছে, এসব মাদক ব্যবসায়ী গ্রামের যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মাদকের টাকা জোগাড়ে তারা বিভিন্ন প্রতারণা থেকে শুরু করে চুরি ছিনতাই সহ ডিজিটাল পণ্যগ্রাফী ও স্ক্যানারের মত ভয়ংকর সব কর্মের সহিত জড়িয়ে পড়ছে ফলে বেড়েছে বিভিন্ন অপরাধ।
প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন জনপ্রতিনিধিদের ছত্র ছায়ায় থাকা কিছু সাংগু,পাংগু ক্যাডার বাহীনিদের সহযোগিতায় জমিয়ে তুলেছে মাদক ব্যাবসা অনেকটা প্রকাশ্যই চলছে এই মাদক কেনাবেচা,এতে অভিভাবকরা বড্ড বেকায়দায় রয়েছেন। মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টায় কাজ করে গেলেও অতি অভিনব কায়দায় মাদক বিক্রয়ের কারণে নতুন নতুন মুখ গুলো চিহ্নিত করতে বড্ড হিমশিম খেয়ে পড়ছে প্রশাসন, এ ব্যাপারে
পুলিশ বলছে, এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার একই কাজ করছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২ নং চন্দননগর ইউনিয়ন একজন সচেতন নাগরিক এবং সরকারি কর্মকর্তা প্রতিবেদক কে বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীসহ এই ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িত প্রভাবশালী শতাধিক কিছু পরিচিত মুখ যাদের নাম প্রকাশের দৃঢ় ইচ্ছা ও সাহসিকতা থকলেও তাদের নিকট আমরা কেউ নিরাপদ না,তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে সত্যি আমরা বড় অসহায়। মাদকের জন্য তারা বিভিন্ন প্রতারণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসাম্প্রদায়ীক কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে তাদের নিকট সাধারণ মানুষ জিম্মি। তাদের কারণে মান-সম্মানের ভয়ে সব কিছু চোখে দেখেও না দেখার ভান করতে হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাঁরা নাজেহাল হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হুমকি পেয়েছেন। চন্দননগর ইউনিয়নের ছাতড়া বাজার সহ সংলগ্ন ২ কিঃ মিঃ মধ্যে আসে পাশের প্রায় সব গুলো গ্রামকে গ্রাস করে ফেলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি সহ উল্টো মিথ্যা মামলারও স্বীকার হতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পুরো উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ছাতড়া বাজার ও সংলগ্ন এলাকা উজিরপুর সিনোড়া গ্রামে মাদক নির্মূল করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ যেনো এক মাদকের সম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। বংশ পরম্পরায় একের পর এক মাদকের ব্যবসায় যেনো তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিনত হয়েছে। ২ নং চন্দন নগর ইউনিয়নের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ এই এলাকার সচেতন মহলের দাবি শীগ্রই ছাতড়া বাজারে একটি পুলিশ মনিটরিং বুথ অথবা পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের মাধ্যমে কঠোর নজরদারি সহ মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে পারলেই হয়তো এই এলাকার মাদক নির্মূল সম্ভবপর হবে।