নাজমুল ইসলাম হৃদয়ঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে উন্নয়নের স্বার্থে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ নেমেছেন জননন্দিত সংরক্ষিত আসনে সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হবিগঞ্জ-১ অবহেলিত (বাহুবল-নবীগঞ্জ) উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণের চাপের মুখে পড়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি । সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ আসনের তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে নেতাকর্মী ও জনগণের চাপে পড়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছি। ঘোষণা দেওয়ার পর নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি এই দুই উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই এবং আপনাদের সাথে নিয়েই বাহুবল- নবীগঞ্জ উন্নয়ন করতে চাই’। আশা করি এ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হবো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
গত ২৬ নভেম্বর সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনায়ন প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন—যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান করবেন। এই ঘোষণার পরই এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বাহুবল-নবীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গণসংযোগ শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যেই এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর পক্ষে আওয়ামী লীগের মূলধারার নেতাকর্মীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং সাধারণ ভোটাররাও তাকেই সমর্থন দিচ্ছেন।
জানা যায়, এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে দুই উপজেলাকে মডেল উপজেলা পরিষদে পরিণত করতে দিনরাত কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সকল প্রকার উন্নয়নে তিনি নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। বিশেষ করে মহামারি করোনার সংকটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধি ঘরে বসে থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই উপজেলার কর্মহীন, অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন সাবেক সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী । সমাজের যেসব মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, কিন্তু লোক লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারেননি তাদেরও গোপনে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী । দুই উপজেলায় মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার দান অনুদান। বিপদ আপদে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। এ কারণে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে দুই উপজেলার হাট বাজার গ্রামগঞ্জে,দলীয় নেতা কর্মীদের দেয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী কে “এমপি হিসেবে দেখতে চাই”।