কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ ডিসেম্বর, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা পাক-হানাদার মুক্ত দিবস। এই দিনে বাঙালী সূর্য সন্তানদের হাতে উড়ে ছিলো লাল-সবুজের পতাকা।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিটি বাঙালির এক অব্যর্থ শক্তি। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত কেন্দুয়াও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কেব্দুয়ার প্রায় তিনশো বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।এঁদের মধ্যে পাঁচজন যুদ্ধাহত ও পাঁচজন শহীদ হোন। বর্তমানে একশোত চুয়াল্লিশ জন জীবিত রয়েছেন।
কিন্তু এ বছর ৭ ডিসেম্বর উদযাপনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। অন্যান্য সাধারণ দিনের মতো কেন্দুয়াবাসীর গর্বের দিনটি থেকে যাবে রংহীন বা আনুষ্ঠানিকতার বাইরে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহ্বায়ক মোঃ লিংকন চৌধুরীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুনেছি আমাদের অভিভাবক সংগঠন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব থাকা প্রশাসনিক প্রধানের মিটিং করেছেন। কেন্দুয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে কোন রকমের আয়োজন হচ্ছে কিনা -মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদকে কিছু জানায় নি।তবে উদযাপিত হলে ভালো হতো।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অর্থবহ দিনটি উদযাপিত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ বজলুর রহমান বলেন, আমাদের কমিটি প্রায় তিন বছর হয় বিলুপ্ত। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দায়িত্বে আছেন।তবুও আমি মিটিং কল করেছিলাম দিনটি উদযাপন করা যায় কিনা।কিন্তু সম্ভব হয় নি।তাছাড়া আমাদের আর্থিক অনুদানও নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন,৭ ডিসেম্বর আমাদের অহংকারের দিন।যেহেতু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্যে একটি চ্যালেঞ্জ ও স্বাভাবিকভাবেই কিছু ব্যস্ততা রয়েছে সেহেতু অন্যান্য সময়ের মতো দিনটি পালন করতে পারছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসনিক প্রধান কাবেরী জালালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।