1. alomgirmondol261@gmail.com : দৈনিক আজকের খোলা কাগজ :
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ভারতে রাসুল (সা:) কে অবমাননার প্রতিবাদে নিয়ামতপুরে মানববন্ধন রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে ও বাড়িতে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নিয়ামতপুরে বিডিওর উদ্যোগে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত নিয়ামতপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে শহরের কোটচত্বর এলাকায় বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ শরীরে ৫০০ গুলি নিয়ে কাতরাচ্ছেন- লিটন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় জিসাসের ৩২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রূপগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত রুহুল আমিনকে অর্থ সহায়তা নিয়ামতপুরে নবাগত ওসির সাথে ছাত্রদলের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ মে, ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
তেমন কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম। গত কয়েক সপ্তাহ দেশে তীব্র তাপ প্রবাহের প্রভাব পড়েছিল নিত্যপন্যের বাজারে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছিল মাছ-মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের। এরপর স্বস্তির বৃষ্টির কারণে দেশে তাপ প্রবাহ কমলেও নিত্যপন্যের বাজারে উত্তাপ কমেনি। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই; বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অস্থির এ
বাজার পরিস্থিতি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই!
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে আরও দাম বেড়ে গেছে মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তীব্র গরমের কারণ ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে পণ্যের। আর ক্রেতারা বলছেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। রোজায় সেটি আর চড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে।
এ বছর রোজায় কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম বেড়েছিল। এখন গরমের অজুহাত নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে গেছে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে পণ্যের।
বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম চড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে মাছের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ১০০টাকা ।
নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। দেখা যায়, পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও তা বেশি দামে বিক্রি হয়। দ্রব্যমূল্যের এই অযৌক্তিক বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে বাজার সিন্ডিকেট বা চক্র। তারা যোগসাজশের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কখনো কখনো তারা পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। নানা অজুহাত তুলেও বাড়ানো হয় পণ্যের দাম। এ অবস্থায় বেশি দামে পণ্য ক্রয় করা ছাড়া ভোক্তাদের কোনো উপায় থাকে না।
এভাবে দ্রব্যমূল্য, বিশেষত নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা অপরাধ বটে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের শাস্তি হওয়া উচিত; কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা বিরল। ফলে কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা প্রতিরোধ করার দায়িত্ব সরকারের। ব্যবসায়ীরা কায়েমি স্বার্থে ইচ্ছামতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে, আর সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, এটা চলতে পারে না। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট