নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক ( প্রসেস সার্ভার) আমিনুল ইসলাম( ৩২) এর বিরুদ্ধে পরকীয়ায় লিপ্ত সহ, নিজের প্রেমিকাকে দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। নামে আমিনুল ইসলাম হলেও সে কখনো সুমন মন্ডল, আবার কখনো দিপক কুমার, ও মনিরুল পরিচয়ে, সুন্দরী কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের প্রথমে ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে, অতি কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
নিজের প্রেমিকাকে দিয়ে বিভিন্ন ছেলেদের শারিরীক চাহিদা মেটানোর কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ যেনো আমিনুল ইসলামের নেশায় পরিণত হয়ে পড়েছে। এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে নিজ অফিস, পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ব্যবহার করে। শুধু ব্ল্যাকমেইলার না, নিজেকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে পরিত্যক্ত ও খাস সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে দেয়ার কথা বিভিন্ন সুবিধাভোগীর নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আমিনুল ইসলাম ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক হলেও নামে বেনামে রয়েছে কোটি টাকার সম্পদ। গত ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইন সহয়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা গ্রামের বিপুল মন্ডলের মেয়ে দীপা রানী মন্ডল( ১৮) নিয়ামতপুর বাবু বাজারের লিটন প্রামাণিক (৪২) এর ছেলে, তোফায়েল আহমেদ (২০) এর বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শীলতাহানী, ১২ ভরী সর্ণালংকার ও নগদ ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আমিনুর ইসলাম সহ দীপা রানী মন্ডল লেখিত অভিযোগ করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইন সহয়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক বরাবর। অভিযোগের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইন সহয়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক, মনসুর হোসেন সরেজমিনে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন এবং তোফায়েল এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সঠিক প্রমাণ জানতে চাইলে দীপা রানী তার পরিবার ও আমিনুর ইসলাম দিতে ব্যার্থ হন। এবং উক্ত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের তথ্য উপাত্তের বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানাযায়, আমিনুর ইসলাম সহ দীপা রানীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তোফায়েল সহ তার পরিবার কে হয়রানি মূলক। এবং দীপা রানীর সহিত আমিনুর ইসলামের দীর্ঘদিনের পারকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তোফায়েল এবং তার পরিবারকে ভয়ভীতি” প্রদর্শন করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদের বাবা লিটন প্রামাণিকের সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
তোফায়েলের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, দীপারানীর সহিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় তোফায়েলের সে একজন মুসলিম পরিবারের ছেলে জেনেও সংখ্যালঘু (হিন্দু) দীপা রানী তার সহিত প্রেম-ঘঠিত সম্পর্ক গড়ে তুলেন।তোফায়েলের বিভিন্ন লেখাসহ বিভিন্ন কথোপকথন কলরেকর্ড ও প্রেমের সম্পর্ক ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করেন। এবং দীপারানী তোফায়েল কে জানায় বিয়ে করার কথা বলে আমার নিকট থেকে যে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়েছো তা ফেরত দিয়ে দাও নইলে নারীশিশুর মামলা করবো এভাবে হুমকি প্রদান করেন, দীপার বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিয়ে আমিনুর ইসলাম একাধিকবার তোফায়েলের পরিবারকে ফোনে হুমকি প্রদান করেন, আমরা মানসম্মানের ভয়ে টাকা দিতে রাজি হয়ে পড়ি এবং দাবীকৃত টাকা দেয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে তোফায়েলের নানা ওয়াহেদ আমিনুর ইসলাম কে মার্কেনটাইল ব্যাংক নিয়ামতপুর শাখার একটি ৮ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন যাহার সেক নাম্বার (১২৯০৩৩৫) চেক গ্রহণ করেও ভরসা না পেয়ে আমিনুর ইসলাম নিজে স্বাক্ষী হয়ে চেকে দেয়া অর্থের একটি লেখিত স্টাম্প গ্রহণ করেন। নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বেই দীপারানী এবং আমিনুর ইসলামের চাপে পড়ে ২৭ মে রোজ সমবার বিকাল ৫ টায় পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তোফায়েলের নানা ওয়াহেদ আলী ও বাবা লিটন প্রামাণিক দীপা রানী ও তার ময়ের সামনে উল্লেখিত অর্থ আমিনুর ইসলামের হাথে তুলে দেন।
সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রসেস সার্ভার আমিনুর ইসলামের সহিত যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিনুর ইসলামের একজন বিশ্বস্ত বন্ধুবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দীপা রানীর নিকটতম প্রতিবেদক কে জানায় ,দীপা রানীর সহিত আমিনুর এর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। সে সুবাদে আমিনুর মাঝে মধ্যেই তাদের বাসায় আসেন একটি লাল রংয়ের পালসার গাড়ী নিয়ে,
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাই আমরা জেনেও নিশ্চুপ হয়ে থাকি। পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন গ্রামের মানিক হোসেন বলেন, আমিনুর নায়েবের অবর্তমানে অফিস ছুটির পর বিভিন্ন লোকজন তার সহিত দেখা করতে আসে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা মানুষ। আমিনুর এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ লোকমুখে শোনা যায়,তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফিরোজ কামালের সহিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই তবে লেখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কে অবগত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।