1. alomgirmondol261@gmail.com : দৈনিক আজকের খোলা কাগজ :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

নিয়ামতপুরে স্কুলের উন্নয়নের নামে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাটে জোরপূর্বক খাজনা আদায়ের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্কুলের উন্নয়নের নামে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুজিশহর হাটে ইজারদারকে বাদ দিয়ে জোরপূর্বক খাজনা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (০১ ফেরুয়ারি) সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর (প্রেমতলী) হাট থেকে ইজারাদারকে বের করে দিয়ে জোরপূর্বক খাজনা উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গুজিশহর হাটের ইজারাদার হাবিব হাসান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক বাবুল আক্তার ও স্থানীয় কিছু লোকজন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে ৪টি হাট (দুই সপ্তাহ) এর খাজনা দাবী করে। ইজারদার তাদের দাবী মেনে নেয়। কিন্তু চার হাট পার করে ১ ফেব্রæয়ারী ৫ম হাটে ইজারদারের প্রতিনিধি হাটে খাজনা আদায়ে গেলে উক্ত দুই শিক্ষকের লোকজন তাদের খাজনা তুলতে বাধা দেয় এবং তাদের জোরপূর্বক হাট থেকে বের করে দেয়। তারা হুমকি দিয়ে বলে আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত ইজারদারকে হাট দেওয়া হবে না। তারা জোরপূর্বক খাজনা আদায় করা শুরু করে। এ সময় খাজনা রশিদ ছিনিয়ে নেয় বেশ কয়েকজন। এমন ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে। ইজারাদারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি, ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে।
গুজিশহর হাটের ইজারাদার ওহির উদ্দিন বলেন, বৈধভাবে হাটের ইজারা নিয়েছি। গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নূরুল ইসলাম ও বাবুল আক্তার তাদের লোকজন দিয়ে হাটের খাজনা তুলতে বাধা দিচ্ছেন। চাঁদাবাজ শিক নূরুল এর আগে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করেছে। এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে হাট থেকে উঠিয়ে দিয়ে তারা লোকজন দিয়ে খাজনা তুলছেন।
গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, আমি ইজারদারকে বাধা দেওয়ার কে? স্থানীয়রা ইজারদারকে নিয়ে বসে প্রেমগোসাই মেলা উপলক্ষে ৮টি হাট (চার সপ্তাহ) এর খাজনা দাবী করে। এত তারা মেনে না নিলে আমি উভয় পক্ষের তরফ থেকে ৭টি হাটের খাজনা আদায়ে সম্মত করি। এবং ৮নং হাটের খাজনা ইজারদার তুলে তাদের ইচ্ছেমত খাজনার টাকা বিদ্যালয়ে জমা দিবে। এখানে জোরপূর্বক কোন কিছু হয় নাই। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Developer By Zorex Zira