1. alomgirmondol261@gmail.com : দৈনিক আজকের খোলা কাগজ :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
রূপগঞ্জে কলেজ ছাত্র জিসান হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নিয়ামতপুরে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাঁকো নির্মাণ করলো বিজিবি ও ছাত্র-জনতা নিয়ামতপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বিএনপি এমন বাংলাদেশ চায়, যেখানে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে, কোন বৈষম্য থাকবে না—মোস্তাফিজুর রহমান নিয়ামতপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি বন্ধ করতে হবে, পুকুর, ডিপ দখল বন্ধ করতে হবে-সাবেক এমপি ডাঃ ছালেক চৌধুরী নিয়ামতপুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ নিয়ামতপুরে রোভার স্কাউট সদস্যদের দুইদিন ব্যাপী ত্রাণ সংগ্রহের সমাপনী  রূপগঞ্জে আলোচনা সভা মিলাদ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে শিক্ষার্থীদের রঙ তুলির আঁচড়ে বদলে যাচ্ছে দেয়ালের চিত্র নিয়ামতপুরে ছাত্রদল নেতাকর্মীর সাথে ইউএনওর মতবিনিময়

মার্কিন পিস্তল ব্যবহার করতেন ইরফান-জাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৮১ বার পড়া হয়েছে
গত সোমবার র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিছানার তোশকের নিচে পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এই পিস্তল। ইরফান ও তাঁর সহযোগী জাহিদকে (ডানে) আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তাঁর সহযোগী মো. জাহিদুল মোল্লা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দুটি পিস্তল ব্যবহার করতেন। এই অস্ত্র দুটি তাঁরা অবৈধভাবে ব্যবহার করতেন বলে র‍্যাব দাবি করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পরে র‍্যাব-৩-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) ও ওয়ারেন্ট অফিসার মো. কাইয়ুম ইসলাম রাজধানীর চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি করে চারটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে এ তথ্য বলা হয়েছে।

এজাহারে মো. কাইয়ুম ইসলাম বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব বেলা সাড়ে ১১টায় জানতে পারে, রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে বিপুল মাদকদ্রব্যসহ কয়েকজন অবস্থান করছেন। এই খবরের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই বাড়িটির দিকে যান র‍্যাব-৩-এর সদস্যরা।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুজন দৌড়ে ভবনের ওপরের দিকে উঠে যায়। তখন তাঁরা ভবনটি ঘেরাও করে ফেলেন। পরে চার সাক্ষীর উপস্থিতিতে র‍্যাব তল্লাশি চালায়। ভবনের চারতলায় দরজার ডানদিকে পশ্চিম দিকের ঘরে মো. জাহিদুল মোল্লাকে পায় র‍্যাব।

এজাহারে কাইয়ুম বলেন, পরে চারজন সাক্ষীকে সামনে রেখে জাহিদুল মোল্লার দেহ তল্লাশির সময় একটি কালো রঙের বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এ ছাড়া চতুর্থ তলার অপর একটি কক্ষে গিয়ে মো. ইরফান সেলিমকে (৩৭) পাওয়া যায়। সে সময় তাঁর ব্যক্তিগত বিছানার তোশকের নিচে পাওয়া যায় একটি পিস্তল। যা তাঁরা অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন।

এজাহারে বলা হয়, কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও জাহিদুল মোল্লার কাছে একই ব্র্যান্ডের দুটি পিস্তল পাওয়া যায়। দুজনের জিম্মা থেকে উদ্ধার করা অবৈধ দুটি বিদেশি পিস্তলই কালো রঙের। পিস্তলের ব্যারেলের একদিকে ইংরেজি হরফে লেখা ছিল মেড ইন ইউএসএ, অপরদিকে লেখা ছিল অটো পিস্তল। পিস্তলের ওপরে লেখা ছিল আর্মি। পিস্তলটির ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ছয় ইঞ্চি। বাট সাদা রঙের। বাটের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক সাত ইঞ্চি। দুজনের কাছে দুই রাউন্ড গুলি করে মোট চার রাউন্ড গুলিসহ দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। প্রতিটি গুলির গায়ে ইংরেজিতে লেখা ছিল কে এফ এবং ৭.৬৫। ইরফান সেলিমের কাছ থেকে পাওয়া গুলি ও ম্যাগাজিনের সংখ্যাও এক। এগুলোতেও ইংরেজিতে লেখা ছিল কে এফ এবং ৭.৬৫।

এজাহারে বলা হয়, জাহিদুল মোল্লাকে যখন আটক করা হয় তখন তাঁর কাছে সাদা রঙের জিপারযুক্ত স্বচ্ছ এয়ারটাইট পলিপ্যাক থেকে ২০৩টি করে ৪০৬টি ইয়াবা উদ্ধার হয়। এগুলোর দাম আনুমানিক এক লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। আর দুই পকেট থেকে উদ্ধার হয় দুটি ‘টাচ মোবাইল’।

অভিযানে আরো কী কী পাওয়া যায় তা জানিয়ে এজাহারে বলা হয়, সবুজ রঙের ছয়টি ও কালো রঙের আরো ছয়টি বিদেশি বিয়ারের ক্যান পাওয়া যায়। যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ছয় হাজার টাকা। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিয়ে ভবনের পঞ্চম তলার ওয়াকিটকির কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করলে একটি এয়ারগান পাওয়া যায়। যাতে লেখা ছিল মেড ইন চেক প্রজাতন্ত্র।

এ ছাড়া কালো রঙের দুটি ছোরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল এবং বিদেশি ব্র্যান্ডের দুটি হুইসকির বোতল পাওয়া যায়। পাওয়া যায় এক বোতল বিদেশি মদ ও এক বোতল বিদেশি ভদকা। যার আনুমানিক মূল্য প্রতিটি চার হাজার টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩৮টি কালো রঙের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যাটারি ও চার্জারসহ ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফসহ একটি ব্রিফকেস ও একটি ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন বিধি মোতাবেক জব্দ করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানকালে অবৈধ অস্ত্র, গুলি এবং মাদক বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসা করলে কোনো সন্তোষজনক জবাব কিংবা কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন সোমবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।

মামলার পর গত সোমবার দুপুর থেকে র‍্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার একই মামলায় ইরফানের সহযোগী আসামি দিপুকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একই মামলায় সোমবার ইরফান সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট