মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মার্চ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জমির অংশীদার সরিফার পক্ষে মো: নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান। লিখিত বক্তব্যে সরিফা বলেন, আমার পিতা মজির উদ্দীন নিশ্চিন্তপুর মৌজার ২০৬ খতিয়ানে ৬৮ ও ৭৮ সালে ২ দলিল মূলে ৮০ শতক জমি ক্রয় করেন। এছাড়াও পৈত্রিক সূত্রে আরও ৪৭ শতক জমি প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে মজির উদ্দিন নিজ প্রয়োজনে ২০ শতক জমি হস্তান্তর করেন এবং সার্কিট হাউজ ১৫ শতক জমি অধিগ্রহন প্রদান করেন। উল্লেখিত ৯২ শতক জমির মধ্যে ৭২ শতক পজিশনে ভোগ দখলে থাকাকালীন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আমার মা, ২ ভাই ও ৪ বোন পৈত্রিক সূত্রে মালিক হই। ৭২ শতক জমির ফারায়েজ করে দেখা যায়, আমার মা সমেলা ৯, বড় ভাই আনসারুল ১৬, ছোট ভাই সমসের আলী ১৬শতক ও আমরা ৪ বোন প্রত্যেকে ৮ শতক করে জমির মালিক। এর মধ্যে আমার ছোট বোন রিনা ৮ শতক জমি ভোগ দখলে রয়েছেন। আমার ছোট ভাই সমসের আলী তার প্রাপ্ত ১৬ শতক জমি হইতে ৮ শতক বিক্রি করে দেন এবং বাকী ৮শতক জমিতে ভোগ দখলে আছেন। এছাড়া আমাদের বাকী ৩ বোনের ২৪ শতক জমি জোরপূর্বক আমার বড় ভাই আনসারুল তার স্ত্রী জোৎস্না বেগম ও ছেলে ওয়াকিউজ্জামানের নামে (আমাদের জমি সহ) অতিরিক্ত জমি লিখে দিয়ে জবর দখলের চেষ্টায় রয়েছেন। ইতিপূর্বে আমার বড় ভাই আনসারুলের ২টি ভুয়া খারিজ ভূমি অফিস বাতিল করেন। বর্তমানে আমরা জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে জোৎস্না বেগম ও ওয়াকিউজ্জামন বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন, বাঁদা দেন এবং মামলা মোকদ্দমার হুমকি দেন। এ বিষয়ে পৌরসভা ও থানায় অভিযোগ দায়ের হলে সেখানে আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালেও তারা কোন কাগজ পত্র না দেখিয়ে সময় ক্ষেপন করেন। এ অবস্থায়ও তিনি জমি জবর দখলের চেষ্টায় রয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে আমাদের জমি বে-দখল হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছি। সংবাদ সম্মেলনে সরিফার অপর বোন সহিদা, সখিনা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বীনা সহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।