নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ) ২য় ধাপ’-এর সমাপনী কুচকাওয়াজ ০৯ মার্চ, ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি মহোদয়।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার ফরিদ হাসান, বিজিবিএম, পিবিজিএম (বার), এনডিসি মহোদয়, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপমহাপরিচালকবৃন্দ ও বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ৯টায় কুচকাওয়াজ শুরু হয়। অশ্বারোহী দলের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মাঠের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে আগমন করেন প্রধান অতিথি। লাল গালিচায় মোড়ানো সুসজ্জিত খোলা সবুজ জিপ-এ তিনি প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্যারেড কমান্ডার উপপরিচালক ফারুক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে প্যারেড ৬ (ছয়) সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানায়।
নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের দিকে হাত তুলে দৃঢ় মনোবলে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি অটল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণার্থীরা। তাদের মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। মোট ১ হাজার ৯১ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিল-এ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন মোঃ নাইমুর ইসলাম, ফায়ারিং-এ সেরা মোঃ মুজিবুল্লাহ আল মুহিত আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন তারিফ হাসান।
সাধারণ আনসাররা প্রশিক্ষণ শেষে অঙ্গীভূত হয়ে ইউএনওদের নিরাপত্তা বিধানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন- জাতীয় সংসদ ভবন, বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, হাসপাতাল, হোটেল, মোটেল, ইপিজেড-এ দায়িত্ব পালন করে।
বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজারের অধিক সাধারণ আনসার অঙ্গীভূত হয়ে দেশের জননিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, বর্ষবরণ, শপিং মল, বাণিজ্য মেলা ও বই মেলা, রেল স্টেশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল, বিশেষায়িত হাসপাতালসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাধারণ আনসার সদস্যরা জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
প্রধান অতিথি সকল নবাগত সদস্যদের পেশাগত ক্ষেত্রে নিষ্ঠা, সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আলোকে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বাহিনীর সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আত্মমর্যাদার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারকে সহায়তা করবে এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।