নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেট হবিগঞ্জের মেয়ে ঢাকার বংশাল সুঁড়ি টোলা এলাকার বাবুল ইসলামের পুত্রবধূ কেরানীগঞ্জ সোনার বাংলা আবাসিক প্রকল্পের সোনার বাংলা ইস্কুল থেকে ১৯ দিন যাবত নিখোঁজ হওয়ার ঘঠনা ঘঠেছে।
নিখোঁজ হওয়ার ঘঠনা নিয়ে রুবিনা ইসলামের স্বামী ওয়াসীম ইসলাম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় গত-১১/০৪/২০২৩- ইং তারিখে আইনী সহায়তা চেয়ে একটি জিডি করেন বলে জানিয়েছেন।
নিখোঁজ রুবিনা ইসলাম সিলেট হবিগঞ্জের রাজ্যজুড়া উচাইলের মৃত নাজিমুদ্দিনের তৃতীয় মেয়ে। ২০০৬ সালে ঢাকার বংশাইল সুঁড়ি টোলা টেকের হাট লেনের মৃত বাবুল ইসলামের ১ম ছেলে ওয়াসিম ইসলাম (৩৫) এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। স্বামীর কর্মস্থল কেরানীগঞ্জের গদারবাগ সোনার বাংলা আবাসিক প্রকল্পে একটি ভাড়া বাসায় দুই পূত্র সন্তান এবং স্বামী ওয়াসিম ইসলাম কে নিয়ে অস্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন। গত ৯/৪/২০২৩ ইং তারিখ রোজঃ রবিবার ছোট ছেলে রেদোয়ান ইসলাম কে নিয়ে সোনার বাংলা ইস্কুলের উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুবিনা ইসলামের স্বামী ওয়াসিম ইসলাম, ও রুবিনা ইসলামের ভাই পারভেজ হোসেন। তবে ভাই পারভেজ ও তার স্বামী ওয়াসিম ইসলাম এর ধারণা রুবিনা কে অপহরণ করা হয়েছে। রুবিনা অপহরণ হয়েছে কেনো মনে হলো তার, কারণ জানতে চাইলে রুবিনা ইসলামের স্বামী ওয়াসিম ইসলাম (৩৫) প্রতিবেদক কে বলেন, আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের সংসার জীবনে কোনদিন এমন কোন ঘঠনার নজির নাই বা কোনা ধরনের ঝামেলা নাই যে কারণে রুবিনা আমাকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারে। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী খুব সহজ-সরল প্রকৃতির মেয়ে বিগত ৩ মাস ধরে আমার বাসায় ঢাকার বংশাইল এলাকার লাট মিয়ার মেয়ে ফারজানা(২৬) কাজে আসার পর থেকে আমার স্ত্রীর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলাম। কাজের ফাঁকে ফারজানা আমার স্ত্রীকে নিয়ে কি সব জাদু টোনা শেখাতো তারপর থেকে আমার স্ত্রী মধ্যে কেমন যানি একটা অদ্ভুত আচরণ খোঁজে পেতাম। আমার ধারণা আমার স্ত্রী রুবিনা ইসলাম কে আমার বাড়িতে কাজের মেয়ে হয়ে আসা ছদ্মবেশ রুপি আসা ফারজানা তাকে ব্লাক ম্যাজিক বা কোন নেশা দ্রব্য ব্যবহার করিয়ে তার ব্রেইন ওয়াশ করে তাকে অপহরণ করেছে। রুবিনা ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার ঘঠনা নিয়ে লাল মিয়ার মেয়ে ফারজানার সহিত যোগাযোগ করা হলে তার উপরে আনিত অভিযোগ সে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকৃতি জানান। রুবিনার মা পারুল বেগমের সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ে খুব সোজা-সরল সে স্বামীর সহিত বেশ সুখেই ছিলো কোনদিনও তার স্বামী বা স্বামীর পরিবার নিয়ে নিয়ে কখনো খারাপ কিছু অভিযোগ আমাদের নিকট করেননি, তার স্বামী সংসারের বিষয়ে সে সবসময় ভালোই বলতো। কিন্তু কাজের মেয়ে ফারজানা ওই সংসারের আসার পর থেকে আমার মেয়েটার যেনো কি হয়ে গেলো। রুবিনা ইসলামের স্বামীর বড় বোন ননাস রোজিনা আবেগে আপ্লূত হয়ে বলেন, দুধের মতো দুইটা সন্তান কে রেখে আমার ভাবি কখনো পারকিয়া বা পালিয়ে যেতে পারেনা নিশ্চয় তাকে অপহরণ করা হয়েছে, তিনি আরও বলেন সন্তান গুলো সবসময় কান্নাকাটি করছে আর সারাক্ষণ মা মা করে চিৎকার করছে কষ্টে আমার বুকঁটা ফেটে যাচ্ছে আমরা এখন কি করবো তার এই দুই সন্তানকে কি ভাবে বাচাঁবো, অন্তত আমার ভাইয়ের মুখের দিকে দেখে না হয় বাচ্চা গুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার ভাবিকে খুজেঁ পেতে সহযোগিতা করুন।