1. alomgirmondol261@gmail.com : দৈনিক আজকের খোলা কাগজ :
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নিয়ামতপুরে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাঁকো নির্মাণ করলো বিজিবি ও ছাত্র-জনতা নিয়ামতপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বিএনপি এমন বাংলাদেশ চায়, যেখানে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে, কোন বৈষম্য থাকবে না—মোস্তাফিজুর রহমান নিয়ামতপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি বন্ধ করতে হবে, পুকুর, ডিপ দখল বন্ধ করতে হবে-সাবেক এমপি ডাঃ ছালেক চৌধুরী নিয়ামতপুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ নিয়ামতপুরে রোভার স্কাউট সদস্যদের দুইদিন ব্যাপী ত্রাণ সংগ্রহের সমাপনী  রূপগঞ্জে আলোচনা সভা মিলাদ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে শিক্ষার্থীদের রঙ তুলির আঁচড়ে বদলে যাচ্ছে দেয়ালের চিত্র নিয়ামতপুরে ছাত্রদল নেতাকর্মীর সাথে ইউএনওর মতবিনিময় নিয়ামতপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে রাস্তা না থাকা দুর্ভোগে আশ্রয়ণের বাসিন্দারা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩
  • ২০৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেন গাঁও ইউনিয়নের নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গল হাজেরা দীঘি আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দারা। চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে। সারিবদ্ধ গোছানো ঘরবাড়ী, বাড়ীর বাইরে বেধে রাখা আছে গরু ছাগল, বাড়ীর আশপাশে রয়েছে হাঁস মুরগী, আশ্রয়নের চারপাশে লাগানো রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ। সব ঠিকঠাক রয়েছে শুধু বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাড়ীগুলোতে চলাচলের মূল রাস্তার। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মঙ্গল হাজেরা দীঘির পাড়ে ২ সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রমিক ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা, ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পড়তে হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। প্রকল্পটির বাড়ীর জন্য কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় মানুষের জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওই আইল বর্ষা বাদল হলে পানিতে মাঝে মাঝে ডুবে যায়। তখন চলাচলে খুবই সমস্যা হয় । অনেক সময় রিক্সা ভ্যান বের করা যায় না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু সরকার এখানে চলাচলের রাস্তা দেয়নি। রাস্তার জন্য ইউএনও,
এসিল্যান্ড, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় ৩০০ ফিট বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়। মাহাবুবা আকতার বলেন, রাস্তার অভাবে চলাচলে সমস্যা ছেলে, মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে মানুষের জমির উপর দিয়ে যায়। যখন ফসল ফলানো থাকে তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়। বর্তমানে পানির ড্রেনের আইলের উপর দিয়ে তাদের সকলকে অস্থায়ীভাবে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী ফিরোজ মাহমুদ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ভ্যানে কাচের সব জিনিস পত্র থাকে সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজারেই অনিচ্ছা সত্বেও রেখে আসতে হয়। আরেক বাসিন্দা করিম উদ্দীন বলেন, একটি মানুষ মারা গেলে তাকে যে কবরস্থানে নিয়ে যাবো সেও রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য এতবার উপজেলা প্রশাসনকে বললেও তারা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঐ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না হলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। জানতে চাইলে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ঐ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিশগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট