কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তরুণীর লাশ উদ্ধার ও দুজন আটক বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে মোজাফরপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাদ্দপাড়া থেকে শপলা আক্তার নামে এক তরনীর লাশ উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ এবং তদন্তের স্বার্থে শাপলার স্বামী মোখলাজ হোসেন ভূঁইয়া ও মোজাহিদ হোসেন ভূঁইয়া নামে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সুত্রে। শাপলার পরিবারের দাবি শাপলার মৃত্যু স্বাভবিক নয়। তাকে তার স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোক জন পরিকল্পতভাবে হত্যা করেছে।
মোজাফরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোনাই মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রথমে শুনেছি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এসে দেখি, মাথা তেতলানো।
শাপলার বাবা মোঃ মতি মিয়া বলেন,শাপলা ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ খুব একটা ছিলো না।কিন্তু ঝগড়াঝাটি হতে কতক্ষণ। ঝগড়ার জেরেই হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেই মন্তব্য করেন।
শাপলার ভাই মোঃ শফিক মিয়া জানান,আগুনে পুড়ে আমার বোন মারা গেছে এমন কথা বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে জানায়। কিন্তু আমি যখন আমার বোনকে দেখলাম,দেখি মাথায় আঘাতে মগজ বের হয়ে গেছে। তখনই বুঝলাম,আমার বোনকে খুন করা হয়েছে।আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী হোসেন পিপিএম জানান, আমরা এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নি এবং অধিকতর তদন্তের স্বার্থে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য শাপলার বিয়ে হয় প্রায় ৮ মাস আগে মালয়েশিয়া ফেরত মোখলাজ হোসেন ভূঁইয়ার সাথে। শাপলার বাড়ি কেন্দুয়ার কীত্তনখলা গ্রামে।পিতা- মতি মিয়া।