মোঃ মশিউর রহমান বিপুল
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
আন্ধারীঝাড়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আজিজুল হক রাজু নামে এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগমের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা রওশন আলীরা।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউপির ধাউরারকুটি (মাঝিপাড়া) গ্রামের মৃত ছবিউল্লার ছেলে ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কয়েল কেনার জন্য গত (৩০জুলাই) রবিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় বাড়ী থেকে মাঝিপাড়া বাজারে পাকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে রওশন আলীর বাড়ী সংলগ্ন পৌছাঁ মাত্র ওঁ পেতে থাকা রওশন আলী তার দলবল নিয়ে রাজু ও তার স্ত্রীর পথ রোধ করে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম পরিকল্পিতভাবে আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কে লাঠি দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আহত কামরুন্নাহার বেগমকে রওশন আলী শ্লীলতাহানিতা করে। রাজুর আত্ম চিৎকারে স্বাক্ষী আব্দুল খালেক, নজর উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম ও পনির উদ্দিন তাদের উদ্ধার করে কামরুন্নাহার বেগম কে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অপরদিকে প্রভাবশালী রওশন আলী ও তার দলবল জোকসাজস করে সড়ষন্ত্র করে ঘটনার রবিবার রাতে রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং ভুরুঙ্গামারী থানায় মিথ্যা, সাজানো ঘটনা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত (৩আগষ্ট) মিনারা বেগম বাদী হয়ে আজিজুল হক রাজুর নামে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। ভুরুঙ্গামারী থানার মামলা নম্বর-০৩/৩০জুলাই ২০২৩খ্রিঃ।
আজিজুল হক রাজুর ভাই আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুলাই ২০২৩খ্রিঃ বাদী হয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই নওশাদ আলী সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক ঘটনার সততা উৎঘাটন করে। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সুজন মন্ডল, রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগমের নামে একটি মামলা করেন। ভুরুঙ্গামারী থানার মামলা নম্বর-০৬/০৫আগষ্ট ২০২৩খ্রিঃ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাঝিপাড়া গ্রামের ফজলুল হক, সাইফুর রহমান, ছবিদুর রহমান বলেন, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কয়েল কেনার জন্য বাড়ী থেকে মাঝিপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম রাজু ও তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধরে রক্তাক্ত করে। চিকিৎসার জন্য কামরুন্নাহার বেগম কে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে বাদী করে রাজুকে বিবাদী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করে হয়রানি করছেন।
মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম কয়েল কেনার জন্য বাড়ী থেকে মাঝিপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে সুজন মন্ডলের হুকুমে রওশন আলী, লোকমান আলী, শফিকুল ইসলাম, রাফুল মিয়া, বছির উদ্দিন ও মিনারা বেগম রাজু ও তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধরে রক্তাক্ত করে। রওশন আলী তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে দিয়ে আমার ভাই রাজুর নামে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি প্রশাসনের নিকটে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এদিকে সুজন মন্ডল ও রওশন আলী তারা দলবল নিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, দুটি মামলার তদন্ত করছেন এসআই নওশাদ আলী। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার রিপোর্ট দেয়া হবে।