আলমগীর মন্ডলঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ফসলের মাঠের যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ফসলের মাঠ যেন সবুজের সমারোহ। কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে অন্যরকম আনন্দ। চলতি বছর আমন মৌসুমে শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হলেও এখন সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৪.৫ মেট্রিক টন। এবার স্বর্ণা ৫ জাতের ধান বেশি রোপণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্রি- ৭৫, ৮৭, ৯০ ও ৫১ জাতেরও ধান রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আমনের ক্ষেতে তেমন কোনো রোগ বালাই দেখা যাইনি। আমন ধানের গাছ ভালো রাখতে আর ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা দিন রাত নিরলোস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকরা এখন ক্ষেতের পোকামাকড় দমন করতে ওষুধ স্প্রে করা, জমির পানি দেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন যেন দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে আমনের গাছ।
মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধান গাছের পাতা। এর সাথে আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এবারে মাঠের ফসলে তেমন কোনো রোগ বালাই না থাকায় বেশ হাসিখুশি রয়েছেন কৃষকেরা। কোনোপ্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান কৃষকেরা।
উপজেলার শ্রীমন্তপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হক ও মুনছের আলী জানান, এ বছর আমন ক্ষেত এখন পর্যন্ত ভালোই রয়েছে।
আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর তেমন কোনোপ্রকার রোগ বালাই না থাকার কারণে এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে তারা আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান জানান, এবারে আমন ধানে পোকার উপদ্রব কম থাকায় আমাদের ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো আছে। আমার বিশ্বাস আবহাওয়া ভালো থাকায় গতবারের তুলনায় এবার ফলন বৃদ্ধি পাবে।।