নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশী জনগোষ্ঠীকে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন রকম সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদানের নিয়ম থাকলেও ব্যতিক্রম চিত্র নিয়ামতপুর উপজেলার ৩ নং ভাবিচা ইউনিয়নের নাকইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। কালের স্বাক্ষী বহনকারী বরেন্দ্র জনপদে গড়ে উঠা নিয়ামতপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ভাবিচা ইউনিয়ন ।কাল পরিক্রমায় আজ ভাবিচা ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল থাকলেও স্বাস্থ্য সেবায় পিছিয়ে ৩নং ভাবিচা ইউনিয়ন। ইউনিয়ন টির আয়তন – ৫৩.০০ (বর্গ কিঃ মিঃ)
লোকসংখ্যা – ৩০৭৬৪ জন (প্রায়) (২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী)
গ্রামের সংখ্যা – ৩৮ টি।
মৌজার সংখ্যা – ৪২টি।
হাট/বাজার সংখ্যা -৫টি।
উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ মাধ্যম – সিএনজি/রিক্সা/ভ্যান। এখানে
শিক্ষার হার – ৭৫%। (২০১০ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৭টি,
উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ৪টি,
মাদ্রাসা- ৪টি।
ভূমি অফিস ১ টি
কমিউনিটি ক্লিনিক ১ টি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র -১ টি।
ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান মোঃ ওবাইদুল হক।
গুরুত্বর্পূণ ধর্মীয় স্থান- ২ টি।
ভাবিচা ইউনিয়ন মোট গ্রাম ৩৮ টি
সাড়া, ভালাতৈড়, লক্ষিডাঙ্গা, আসনদী, সিনোড়া, গোরাই, চন্ডিপুর, কুমরইল, আশকপুর, চাপড়া, ধর্মপুর, পাইকড়া, বিলসিংড়া, কাঁঠালবাড়ী, জিনপুর, বোরামবাড়ী, সিদাইন, নাকইল, আমইল, চৌরী, শালালপুর, কাঁড়ালীপাড়া, রনসা, কালপুর, কয়াশ, চকদৈউলিয়া, বাদমালঞ্চী, রাউতাড়া, সন্তোষ, ভাতকুন্ডু, কুমিরজোল, ভবানিপুর, ডিমা, ভাবিচা, শালকোনা, মানিকপাঠন, ঈশ্বরদেব্ত্তর, রুদ্রপুর।
নির্বাচিত পরিষদ সদস্য – ১৩ জন।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব – ১ জন
হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর-১ জন
দফাদার- ১জন
ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ – ৯ জন
১০১৭ সালের শেষের দিক থেকে আজ অব্দি ভাবিচা ইউনিয়নের নাকইল বোর্ড বাজারে অবস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ৪ টি পদ শূন্য। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা ১ জন এমএল এস এস(অফিস সহায়ক) ১ জন। সর্বমোট চারটি পদ আজও শূন্য থাকাই স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভাবিচা ইউনিয়ন বাসি, ফলে স্বাস্থ্য ঝুকির সম্ভাবনা বেড়ে গেছে প্রবল। ভাবিচা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এই বাস্তবচিত্র সরজমিনে পরিদর্শন কালে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট জাহিদ আলমের নিকট হইতে উপরোক্ত তথ্যগুলির সত্যতা নিশ্চিত হয়। এখানে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এ সময় নাকইল গ্রামের একজন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন (২৮) বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ ঔষধ কিনতে পারি না চিকিৎসা নিতে পারি না যার ফলেই ছুটে আসি এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কিন্তু এখানে এসে মিলে না ঔষধ। নেই কোন ডাক্তার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র অনেকটাই পরিত্যক্ত ও ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে পরিণত হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ এর প্রতিকার চাই বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইমরান হোসেনের মতো স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত শত ভুক্তভোগীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রাণের আকুতি অচিরেই এই সমস্যার সমাধান করে একজন চিকিৎসক সহ শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে তারা আশাবাদী।